চিত্রপট থেকে চিত্তপটে

 

“আমি হাত দিয়ে দ্বার খুলবো নাকো, গান দিয়ে দ্বার খোলাবো
জানবেনা কেউ কোন তুফানে তরঙ্গদল নাচবে প্রাণে
চাঁদের মত অলখ টানে জোয়ারে ঢেউ তোলাবো।”

সবিনয় নিবেদন।

আজ বিশ্ব নাট্য দিবস। আজ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে নাটকের জন্য নির্দিষ্ট দিন। আজ আমরা যারা নাটক করি তাদের জন্য নির্ধারিত একটি দিন। আজ আমরা যা করি তা হচ্ছে নাট্য উদযাপন। ইংরেজি ভাষায় বলা যায় সেলিব্রেটিং থিয়েটার। তো আমরা থিয়েটার সেলিব্রেট করি কেন? থিয়েটার আমরা সেলিব্রেট করি কারণ, আমরা বিশেষ করে এই ভূখন্ডে, থিয়েটার থেকে ভরণপোষণ না পেলেও থিয়েটারকেই জীবন বলে মানি সে কারণে। বিশ্বনাট্য দিবস নিয়েই আজকের এই সম্মিলন, এই কথাবার্তা। এবারে বাংলাদেশের থিয়েটারের কর্ণধারেরা আমাকে কিছু বলতে বলেছেন।

আমি সর্বাগ্রে বিনীতভাবে নিবেদন করতে চাই যে আমার আজকের বক্তব্য নিশ্চিতভাবে আমার দীর্ঘ আটত্রিশ বছরের হাতে, কাঁধে, পায়ে লব্ধ নাট্যকলা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরশীল। এর সাথে আকাদেমি-সঞ্জাত কোন তত্ত¡ কিংবা জ্ঞানগর্ভ অধ্যয়ন কি গবেষণার কোন যোগ নেই। লক্ষ্য করা সম্ভব হবে যে আমি “হাতে কলমে” কথাটা ব্যবহার করিনি। বড় ভয়ে করিনি। কলম প্রসঙ্গ উঠলেই তত্ত¡কথা শুরু হয়ে যাবে। আর তখনই আমি হেরে যাবো। আমিতো “করা”-র মানুষ, “পড়ার” নই। আর নাটক নিয়ে পড়ি সেইটুকুই যা করার জন্য প্রয়োজন হয়।

এই নিবন্ধের শুরু করেছিলাম রবীন্দ্রনাথের একটি সুপরিচিত গানের কথা দিয়ে। এর পেছনে একেবারেই আমার নিজস্ব একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। এরসাথে হয়তো কেউ একমত হবেন, কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন। কথায় আছে যত মত, তত পথ। এই অত পথ আছে বলেই অত ধরনের মানুষ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা অত ধরণের ধারণা আছে। এখন গানটির প্রসঙ্গে আসি। যদি শিল্পকর্ম দিয়ে মানুষের মনে একটা স্থায়ী অবস্থান তৈরি করে নিতে হয় তাহলে হৃদয়ের তন্ত্রীতে অভিঘাত সৃষ্টি করেই করতে হবে। “আমাকে দেখো” ধরণের উচ্চকিত কোন অভিঘাতের দ্বারা নয়। অর্থাৎ, হাত দিয়ে দ্বার না খুলে গান দিয়েই দ্বার খুলতে হবে। এই হচ্ছে সৃজনশীল শিল্পকলার শিক্ষা।

১৯৭৩- এর ৩রা ফেব্রুয়ারি সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকার বৃটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে দর্শনীর বিনিময়ে নিয়মিত নাটকাভিনয় যখন শুরু হলো তখন নাট্যজনেরা নাটক সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করলেন। বাংলাদেশের নাটকের যাত্রা শুরু হ’ল প্রথাসিদ্ধভাবে গল্প এবং অভিনয় সমভিব্যাহারে সুনির্মিত নাটক, ইংরেজিতে যাকে বলা হয়ে থাকে ‘ওয়েল মেড প্লে’, তা দিয়েই । চলতে লাগলো ছোট খাট পরীক্ষা নিরীক্ষা। কেউ নাটকে অধিবাস্তববাদের ব্যাখ্যা দিলেন, কেউবা আপাত অসংলগ্নতার ছোঁয়ায় তাঁর নাটককে একটু ইন্টেলেকচুয়ালাইজ করবার চেষ্টায় ব্রতী হলেন। তবে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের যে অনিবার্য প্রাসঙ্গিকতা তা হয়ে উঠলো আমাদের নাটকের প্রধান উপজীব্য। এই মূল প্রতিপাদ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে যখন থিয়েটার একটা নিজস্ব চরিত্র ধারণ করে তখন নানাবিধ চিন্তা এসে ভীড় জমায় আমাদের চিরন্তন বৈচিত্র-অন্বেষী মনে। নাট্যচিন্তার মূল ক্ষেত্র হয়ে ওঠে আঙ্গিক কেননা প্রতিপাদ্যে নতুনত্ব কিংবা মৌলিকত্ব বড় সহজলব্ধ নয়। আমাদের মুক্তি সংগ্রামের প্রাসঙ্গিকতা অনিবার্য ধরে নিয়ে আমরা কেবল উপস্থাপনা শৈলীকেই প্রধান বলে গণ্য করি। কেননা, আমাদের সমাজ, রাজনীতি এবং সর্বপোরি আমাদের পারিবারিক যুথবদ্ধতা এখনও আমাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে বিচিত্র চিন্তা থেকে দূরে রেখেছে। আর তাই আমরা ক্রমে প্রতিপাদ্য থেকেই দূরে সরে যাচ্ছি বিচিত্র আঙ্গিকের আয়োজনে। এক ধরণের, প্রায় রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের অনুপ্রেরণায় আমরা একসময় আমাদের নিজস্ব থিয়েটারের অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হই। আমরা এই প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে নির্ণয় করার চেষ্টা করি আমাদের নাট্যরীতি যাকে ইংরেজী ভাষায় এবহৎব বলা হয়ে থাকে।

যারা আমাদের মঞ্চ প্রক্রিয়ার অনুপ্রেরণায় আজ নাট্যশিক্ষক তারা আমাদেরকে বলেন যে আমাদের থিয়েটার হলো ন্যারেটিভ থিয়েটার অর্থাৎ বর্ণনাশ্রয়ী নাট্য। আমরা জানলাম যে আমরা এখন যে নাটক করছি তা আমাদের নিজস্ব নাট্যরীতির বাইরে বিদেশী থিয়েটারের অনুকরণে নির্মিত। এই থিয়েটারের আমদানী হয়েছে অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে। আমাদের নিজস্ব যে নাট্যরীতি সেই রীতি সম্বন্ধে আমরা উদাসীন হয়ে পড়েছি এবং কালের গর্ভে তা বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের পন্ডিতেরা বললেন সেই থিয়েটারকে আমাদের ‘রেসারেক্ট’ করতে হবে। আমরা আমাদের নিজস্ব নাট্য যখন বলি তখন অবশ্যই আমাদের উপমহাদেশীয় পৌরাণিক নাট্য থেকে উদ্ভুত নাট্যের কথাই আমরা বলি বলে আমার বিশ্বাস।

এই ন্যারেটিভ থিয়েটার, মদীয় ধ্যানধারনায়, আমি বোধ হয় কিছুটা আঁচ করতে পারি। আমারই স্মরণকালে আমি দেখেছি আমার এক দাদীকে বারান্দায় জায়নামাযের উপর তিনি বসতেন এবং সামনে একটি রেহেলে পুঁথি রাখা থাকতো। তিনি পুঁথি থেকে সোহরাব-রোস্তম কিংবা বিষাদসিন্ধুতে বর্ণিত হাসান-হোসেনের উপাখ্যান সুর করে পাঠ করতেন। উঠোনে বাড়ীর বয়স্ক মানুষেরা এবং গ্রামের তাবৎ বয়োজ্যেষ্ঠ নারী পুরুষ মাদুর পেতে বসে একাগ্রচিত্তে সেই পাঠ শুনতেন। এই পাঠ উৎকৃষ্ট অভিনয়ের একটি জলন্ত নিদর্শন ছিল বললেও সত্যের অপলাপ হবেনা । রাস্তায় ডুগডুগি বাজিয়ে অথবা এখনও গ্রামীন মেলা বা উৎসবে হয়ে দেখা যায়, একটি টিনের বাক্সের ভেতরে চলমান ছবি দেখিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবির বর্ণনা দিয়ে যে ‘বায়োস্কোপ’ দেখানো হ’ত বা হয় সেটিও বোধ করি ন্যারেটিভ থিয়েটার এর খুবই ঘনিষ্ট একটি আত্মীয়। বিভিন্ন তত্ত¡কথা থেকে আমরা জানি যে আমাদের বর্ণনাশ্রয়ী থিয়েটার-এর প্রাণ ছিলো জারী গান, নাচের গান, গাজীর যাত্রা, যাত্রা, ঢাক যাত্রা, তরী গান, আলকাপ, পাঁচালী ইত্যাদি। এই তালিকার বেশির ভাগ আঙ্গিক এখন অনুপস্থিত প্রায়। তবে কিছু, কিছু যেমন পুতুল নাচ, লাঠি খেলা, গম্ভীরা, কবি গান, পটযাত্রা এখনও আমাদের প্রায়োগিক শিল্পমাধ্যমে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে আনন্দ যোগায়।

আমি মনে করি বঙ্গীয় নাট্য রীতির অন্বেষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জাতির সাংস্কৃতির ঐতিহ্য নিরূপনে অত্যন্ত বৈধ একটি পদক্ষেপ। তবে একবিংশ শতাব্দীতে এসে যখন বিশ্বের সর্বত্র সকল মানুষের আগ্রহের সৃষ্টি হচ্ছে পরস্পরকে জানার তখন যদি আমরা নিজেদেরকে বিশ্বনাট্য ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চাই তাহলে সেটা সংস্কৃতির জন্য খুব একটা মঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমার মনে হয়না। প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথ রচিত ’অচলায়তন’ নাটকের পঞ্চকের একটি সংলাপ উল্লেখ করছি, পঞ্চক বলছে, “খাঁচায় যে পাখিটির জন্ম সে আকাশকেই সবচেয়ে ডরায়। সে লোহার শেলগুলোর মধ্যে দুঃখ পায়, তবুও দরজাটা খুলে দিলে তার বুক দুর, দুর করে। ভাবে বন্ধ না থাকলে বাঁচবো কি করে? আপনাকে যে নির্ভয়ে ছেড়ে দিতে শিখিনি এই আমাদের চিরকালের অভ্যাস”। নিজস্ব নাট্যরীতি আমাদের নিশ্চয়ই থাকবে তবে বিশ্বের সাথে আমাদের যোগাযোগ যেন না হারিয়ে যায়। আমরা নিজস্ব নাট্যরীতির খোঁজে বেরিয়ে নিজেরটাও পেলাম না সম্পূর্ণ করে আবার বিশ্বের মানুষের সঙ্গে সংযোগটাও হারালাম, এই দূর্ঘটনাটি যদি না ঘটে তাহলেই মঙ্গল। এতো গেল দর্শনের কথা। এখন প্রায়োগিক দিকে আসি। ন্যারেটিভ থিয়েটার- এ একটি বিপদ এমন হতে পারে যে আমরা বলতে, বলতে এমনই ‘বলনদার’ হয়ে গেলাম যে নাট্যের প্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি যা হ’ল অভিনয়, তা প্রায় ভুলেই গেলাম। এই বিপদের আশংকা আমাকে শংকিত করে। ন্যারেটিভ থিয়েটার এমন হবে যেখানে অভিনয় এবং বর্ণনা এক দেহে লীন হবে।

আজকের এই আলোচনায় চিত্রপট শব্দটিকে আমি ব্যবহার করেছি অনেক বেশি ব্যাপকার্থে। নাটককে যদি আঙ্গিক এবং প্রতিপাদ্য দু’টি ভাগে বিভক্ত করা যায়, অর্থাৎ ফর্ম এবং কনটেন্ট, তাহলে ফর্ম এর সঙ্গে সম্পর্কিত সকল কর্মকান্ডই চিত্রপট হিসেবে সংজ্ঞায়িত হতে পারে। তাতে দৃশ্যপট-দৃশ্যসজ্জা যেমন থাকবে উপস্থাপনা এবং আঙ্গিকে ব্যবহৃত অঙ্গসঞ্চালন এবং বদন ব্যাদনও থাকবে। আর চিত্তপটে আঁকা যে অভিব্যক্তি তা চিত্তকেই দেবে দোল। সেখানে বচন কিংবা অভিব্যক্তি সম্পর্ক সৃষ্টি করবে দর্শকের হৃদয়ের সাথে। চিত্তপটে আমাদের নাটক অ¤øান হবার বাসনায় যদি আমরা নাটক পরিবেশন করি, তাহলে বিষয়বস্তু নিশ্চিতভাবেই প্রধান ভূমিকা পালন করবে এবং বিষয়বস্তুকে আরও স্মরণীয় করে তোলার মানসেই আমরা আঙ্গিক অথবা দৃশ্যপটকে ব্যবহার করবো এটাই স্বাভাবিক। একটু ব্যাখ্যায় যাই, সৈয়দ শামসুল হকের কাব্য নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ এর সংলাপ,
“অথচ আল্লার নামে আপনের ঘরে
কখনো কিছুর কম হয় নাই, য্যান থরে থরে বাগিচার বারোমাস্যা ফুলের বাহার।
বুঝি না আল্লার কুদরত কারে কয়, কারে কয় বিচার আচার।
যাদের জীবন হইল জন্তুর লাহান
তারে কিছু দ্যাও নাই, দিয়াছো ঈমান ;
আর যারে সকলি দিয়াছো, অধিকার
তারেই দিয়াছো তুমি দুনিয়ার ঈমান মাপার।”
যদি চিত্তপটে আমরা এঁকে দিতে চাই এই কথাগুলোর তাৎপর্যকে তাহলে চিত্রপটের ব্যবহার হবে নিতান্তই সংলাপটিকে শ্রবণ, অনুধাবন এবং গ্রহণ করার উদ্যেশ্যে। এখানে গ্রামবাসীর যে আকুতি সেটিরই হৃদয়গ্রাহী আবেদন সকলের হৃদয়ে আন্দোলন তোলে। অথচ এই আকুতি যদি যে কোন ভাবে ব্যাহত হয় তবে গোটা সংলাপটি নিরর্থক হয়ে যাবে। চিত্ত এবং চিত্রের এক অদ্ভূত রসায়নে নির্মীত হয় একটি সফল নাট্য।

এবারের বিশ্বনাট্য দিবসের বিশেষ বাণীতে উধসব ঔঁফর উবহপয বলেছেন, ” ঞযবধঃৎব রং ঢ়বৎভড়ৎসবফ ঃযৎড়ঁমযড়ঁঃ ঃযব ড়িৎষফ ধহফ হড়ঃ ধষধিুং রহ ধ ঃৎধফরঃরড়হধষ ঃযবধঃৎব ংবঃঃরহম. চবৎভড়ৎসধহপবং পধহ ড়পপঁৎ রহ ধ ংসধষষ ারষষধমব রহ অভৎরপধ, হবীঃ ঃড় ধ সড়ঁহঃধরহ রহ অৎসবহরধ, ড়হ ধ ঃরহু রংষধহফ রহ ঃযব চধপরভরপ. অষষ রঃ হববফং রং ধ ংঢ়ধপব ধহফ ধহ ধঁফরবহপব. ঞযবধঃৎব যধং ঃযব ধনরষরঃু ঃড় সধশব ঁং ংসরষব, ঃড় সধশব ঁং পৎু নঁঃ ংযড়ঁষফ ধষংড় সধশব ঁং ঃযরহশ ধহফ ৎবভষবপঃৃ ”. তাঁর এই বাণীতে দু’টি জিনিস বিশেষ করে লক্ষ্য করার আছে। এক, আফ্রিকার একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে আর্মেনিয়ার পর্বত হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে নাটক ব্যপ্তি লাভ করেছে আজ। এবং দুই, নাটকের আছে সেই শক্তি যা আমাদেরকে হাসাতে পারে এবং কাঁদাতে পারে আবার একই সাথে আমাদেরকে ভাবিত করতে পারে, পথের দিশা দিতে পারে। এমন যে মাধ্যমের শক্তি সেই মাধ্যমকে খাঁচার ভেতরে আটকানোর চেষ্টা করলে, কোন বিশেষ নাট্যরীতির নিগড়ে বাঁধবার চেষ্টা করলে মুক্ত আকাশে উড়তেও সে ভয় পাবে।

এবারে সূচনায় উল্লেখিত রবীন্দ্রনাথের গানটির তাৎপর্য সম্বন্ধে আরও দুই একটি কথা। আমরা শিল্পকলার আবেদনের মাধ্যমে হৃদয় ছোঁয়ার অঙ্গীকার করেছি। সেই অঙ্গীকারে মানুষ কাঁদবে, মানুষ হাসবে। মানুষ তার নিরন্তন সংগ্রামে আমাদের নাটককে তার একান্ত সাথী হিসাবে সর্বদাই নিজস্ব করে পাবে। আজ বিশ্ব নাট্য দিবসে বাংলাদেশের একজন নগণ্য নাট্যকর্মী হিসেবে এই আমার প্রার্থনা।

জয় হোক বিশ্ব নাট্য দিবসের।
জয় হোক বিশ্বের সকল নাট্যজনের

( বিশ্ব নাট্য দিবস-২০১০ উপলক্ষে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঞযবধঃৎব ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ ইধহমষধফবংয ধহফ ইধহমষধফবংয এৎড়ঁঢ় ঞযবধঃৎব ঋবফবৎধঃরড়হ আয়োজিত সেমিনারে পঠিত মূল প্রবন্ধ )